আরিফ রববানী,(ময়মনসিংহ)
দেশের শীর্ষ পর্যায়ের চিকিৎক নেতা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ। উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ বলেছেন- বর্তমান সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে চিকিৎসা খাতসহ সকল সেক্টরে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্যই দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ সারাবিশ্বের মাঝে বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ নগরীর ল্যাবএইড লিমিটেড ( ডায়াগনস্টিক) হাসপাতালে রোগীদের পরিসেবা নিখুঁত ও সহজলভ্য মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে ডিজিটালাইজ্ড পেশেন্ট আইডি কার্ড কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক ময়মনসিংহের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও ইনচার্জ মোঃ খন্দকার বাকী বিল্লাহ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সভাপতি ( বিএমএ) এর ডাঃ মোঃ মতিউর রহমান ভূঞাঁ ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এ এইচ এম তারা গোলন্দাজ, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ হরিশংকর দাস, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ, অধ্যাপক ডাঃ কোহিনূর আখতার,ডাঃ মোঃ আব্দুল হান্নান মিয়া,ডাঃ মতিউর রহমান সহ প্রমুখ।
অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ বলেন, বর্তমান সময়ে চিকিৎসা খাত অনেক এগিয়ে গেছে। বিগত বছরগুলোতে চিকিৎসা খাতে আমাদের এই সাফল্যের কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। চিকিৎসা খাত বলতে শুধু সরকারি চিকিৎসা সেবাকেই বুঝায় না বেসরকারি চিকিৎসা সেবাকেও বুঝায়। কারণ বর্তমান সময়ে ৬০% লোক বেসরকারি খাতে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছে। তাই সরকারির পাশাপাশি একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য দপ্তর তৈরি করা উচিত। যেন এই বেসরকারি স্বাস্থ্য দপ্তরের মাধ্যমে চিকিৎসা খাতে বেসকারিভাবে নিয়োজিত সকল ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালগুলোকে মনিটরিং ও আইনের আওতায় আনা যায়।সাম্প্রতিককালের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন যাদের লাইসেন্স নেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যাদের লাইসেন্স নেই ৩ দিনের মধ্যেই তাদের নামের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। আর এই দায়িত্ব পালন করবে সিভিল সার্জন। সারাদেশে অনেক ক্লিনিক,ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল আছে লাইসেন্স ছাড়া। আপনারা (ডাক্তার) জানেন আপনাদের উচিত এই সকল অবৈধ চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে ধরিয়ে দেওয়া। ফলে আপনাদেরও দুর্নাম কমবে এবং জনগণও সুচিকিৎসা পাবে। তিনি আরও জানান, গত করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তারা যে ভূমিকা রেখেছে তা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আসন্ন শীতেও করোনা বিস্তার ঘটতে পারে তাই সকলে আবারও করোনা বিস্তার প্রতিরোধে প্রস্তুত হতে হবে। বিশেষ করে ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক এর মতো স্বনামধন্য চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোকেও আগের মতো করে আবারও করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে বা ভূমিকা রাখবে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক ময়মনসিংহ শাখার সকল ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ ডায়াগনস্টিকে আগত সেবা গ্রহিতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।