Breaking News
Home / Uncategorized / সৎ যোগ্য উচ্চ শিক্ষিত হিসাবে ভালুকা আসনে আলোচনায় রয়েছেন জাপার এড কাইয়ুম।

সৎ যোগ্য উচ্চ শিক্ষিত হিসাবে ভালুকা আসনে আলোচনায় রয়েছেন জাপার এড কাইয়ুম।

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশজুড়েই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আবহ। তারই প্রতিফলন ময়মনসিংহে। ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা মাঠে নেমেছেন। অন্যান্য কিছু দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও প্রচারণায় আছেন। এই আসনে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপির বিশ্বস্থ আস্থাভাজন এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম। তিনি ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির একজন দক্ষ আইনজীবী। তিনি ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক ৩বারের দপ্তর সম্পাদক সম্পাদক ও সাবেক জেলা জাতীয় পার্টি ৩বারের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে ভালুকা উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক। এর আগে গত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান থাকাকালে তাকে ভালুকা আসনে একবার মনোনয়ন দিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তিনি স্থানীয় এবং আইনজীবী হিসেবে এই আসনে সমাদৃত ব্যক্তিত্ব। ভালুকায় জাপার তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও তার মনোনয়নের পক্ষে। তাদের সঙ্গে নিয়েই এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করছেন। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তিনি।

স্থানীয় জাপা নেতারা জানান, এই এলাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তার সুফল কমই পেয়েছে এলাকাবাসী। তার জন্য এখানে পরিবর্তন দরকার। জাপা নেতা এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম এমপি হতে পারলে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাড়বে বলে তারা মনে করেন। তারা আরো জানান, জাপা যদি এ আসন ধরে রাখতে চায়, তাহলে এমপি পদে এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম এর মতো সুযোগ্য নেতা প্রয়োজন। এর আগে যখন ভালুকা আসনে বেগম রওশন এরশাদ এমপিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো সেসময়েও তিনি বেগম রওশন এরশাদকে বিজয়ী করতে উপজেলার পৌর এলাকাস প্রতিটি ইউনিয়নে দিনরাত গণসংযোগ ও মতবিনিময়ে শ্রম দিয়েছেন।

জানা যায়, এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি জাপার ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের ভালুকা উপজেলায় নেতৃত্ব দেওয়াসহ ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আনন্দ মোহন কলেজে অধ্যয়ন কালেও ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে জাতীয় ছাত্র সমাজকে তরান্বিত করেন । ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির পাশাপাশি তিনি মানবসেবাও করেন। আইনজীবী হিসেবেও সমধিক পরিচিত। তিনি জাতীয় পার্টি সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন জেলা জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ অনার্স এম এ এলএল বি। একজন সৎ যোগ্য উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থী হিসাবে উপজেলাবাসীর কাছে আলোচনায় রয়েছেন এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম।

ছাত্র রাজনীতি করার সময় থেকেই ভাকুকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই নেতা। উপজেলার সামাজিক, জনসেবামূলক কাজ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম এই এই প্রতিনিধিকে বলেন, ‘জাপা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শে এবং বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের নির্দেশনা মেনে সততার সঙ্গে এলাকাবাসীর জন্য কাজ করে চলেছি। মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হব- জনগণের ভালোবাসা দেখে সেটাই মনে হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভালুকাবাসীর স্বপ্ন ও প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এরশাদের আদর্শ ধারণ করে তার সততা ও নিষ্ঠা অনুসরণ করে নির্বাচিত হয়ে রওশন এরশাদের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।’

মনোনয়নপ্রত্যাশী এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই লাঙল তথা জাতীয় পার্টির পক্ষে কাজ করছি। ভালুকাবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে আছি। এবার মনোনয়ন পাব বলেই আশা করছি।’

জাপার এই নেতা এমপি প্রার্থী হতে এখন জনসংযোগ, মিছিল, সভা ও গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন পাবো এই বিশ্বাস থেকেই কাজ করছি। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার হয়েই কাজ করে যাব।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা ভালো ছাত্র তারা কিন্তু সারা বছর পড়ালেখা করে, আর যারা তা নয়, তারা পরীক্ষার তিন মাস আগে থেকে পড়ে। আমি তো সারা বছর কাজ করি। কাজেই পরীক্ষাতে আমার ভয় নেই। আমি নিয়মিত এলাকায় যাই, কাজ করি। সারা জীবন ভালুকাবাসীকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব।’

এমপি হতে পারলে কী করবেন এমন প্রশ্নে এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘জেলার শিল্প এলাকা হিসাবে পরিচিত ভালুকাকে আরো আধুনিক হিসেবে গড়তে চাই। আমি মনে করি, সেই জাতি তত উন্নত যে জাতির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি যত উন্নত। তাই ধর্মীয় মূল্যবোধ সুরক্ষার পাশাপাশি এসব বিষয়েও সময় দিচ্ছি।’

ভালুকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে ভালুকালকে গড়ে তুলি। আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। ভালুকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমি ভালুকাবাসীর কল্যাণে ভালুকার উন্নয়ন করব ইনশাআল্লাহ।

About Mizanur Rahman

Check Also

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজ পরিদর্শন করলেন ইউএনও

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার” শীর্ষক প্রকল্পের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!