মোঃ মোকাম্মিল হোসাইনঃ
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র মুহতারাম সভাপতি আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, দেশে ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে। নানাভাবে আলিম-উলামার প্রতি বিষোদগার করা হচ্ছে। যা মোটেই কাম্য নয়। এদেশ সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশ, মসজিদের দেশ। এখানে রাস্তার মোড়ে বা প্রতিষ্ঠানে কোনো ব্যক্তি বা প্রাণীর ভাস্কর্য তৈরি করে ইসলামী শরীয়াহ্’র নিষেধ অমান্য করার কোন অবকাশ নেই। কারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রাণীর ভাস্কর্য তৈরি ইসলাম সমর্থন করে না। সেক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ তাকে আখিরাতের জীবনে কোন সহযোগিতা করবে না। তিনি বলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য যদি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য হয় সেক্ষেত্রে ভাস্কর্য নয় তার নামে অন্যান্য জনকল্যাণমূলক স্থাপনা তৈরি করা যেতে পারে। কারণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশ একটি সংঘাতের দিকে চলে যাচ্ছে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এমন কঠিন মুর্হূতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিক নির্দেশনা দেশকে শান্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে পারে। তিনি এ নিয়ে কোথাও কোন উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি না করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্ব অত্যন্ত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। করোনা মহামারিতে বিশ্ব আজ অসহায়। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের আল্লাহর প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও গযবের কারণ হয় এমন আচরণ ও সিদ্ধান্ত থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্তের পক্ষে আমরা নই। তবে ঈমান-আকীদার প্রশ্নে আমরা আপোসহীন। তাই ইসলাম বিরোধী কোনো কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০৩.১২.২০২০) বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী রায়হান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ নুমান, সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা কাজী হাসান আলী, অর্থ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবূ ছালেহ মুহাম্মদ কুতবুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা হাফিয নজীর আহমদ হেলাল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা বেলাল আহমদ, অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি আখতার হোসাইন জাহেদ, সহ সভাপতি মুহাম্মদ মুহিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজতবা হাসান চৌধুরী নোমান, আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল মুছাব্বির, মাওলানা আবু তাহির খালিদ, মাওলানা রেদ্বওয়ান আহমদ চৌধুরী, মাস্টার আহমদ আলী, অধ্যক্ষ মাওলানা শেহাব উদ্দিন, মাওলানা মকবুল হুসাইন খান, মাওলানা আ.ক.ম মুজিবুর রহমান, মাওলানা ছালেহ আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজ আহমদ, আলহাজ নুরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, মাওলানা ছাদিকুর রহমান শিবলী, মাওলানা ইউনুছ আহমদ, হাফিয আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
সভায় দেশের দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং বিবিধ সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।