স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাক বাদল আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে আছি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বলে ইউনিয়ন জুড়ে বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। প্রতিদিনের কাগজ নামক একটি দেন পত্রিকায়
যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্য হয়েও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদে এই প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তার
বক্তব্যে তিনি এমন অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান বাদল।
এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দলের জনপ্রিয় ও জনবান্ধব নেতাদের বাছাইয়ের মাধ্যমে ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঠিক সেই মুহূর্তে দলের কিছু হাইব্রিড ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা আগামী ইউপি নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়নে ঠেকানোর কৌশল হিসাবে সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে দল ও জনগণের কাছে আমাকে হেয় করার লক্ষে উঠে পড়ে লেগেছে। দলের দুঃসময়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন,রাজপথে ভূমিকা রেখে তাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী যোগ্যদের ইউনিয়ন, উপজেলা,জেলা পর্যায়ে মূল নেতৃত্বে নিয়ে আসছেন। ঠিক সেই সময় ত্রিশালের বালিপাড়া ইউনিয়নের হাইব্রিড নেতাদের সামনে এনে ত্যাগিদের সাথে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে কিছু স্বার্থপর নেতা। সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি আমিও। তিনি আরো বলেন, আমি যখন বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের হাল ধরেছি, তখন বালিপাড়ায় বিএনপিপন্থী সামনে কেউ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহস করেনি। ঠিক সেই সময়ে আমি দলের হাল ধরে দলকে বালিপাড়া ইউনিয়নে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে আসন্ন ইউপি নির্বাচন কে কেন্দ্র করে হীন এই ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
তারা আমার পিতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শরাফত উল্লাহ চেয়ারম্যানের যুদ্ধকালীন ভূমিকা তুলে ধরেছেন। উনি নাকি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন,অথচ তিনি যুদ্ধের আগে ১৯৬৮ সালে মৃত্যু বরণ করছেন। আমাকে নিয়ে লিখেছেন আমি পাকিস্তানিদের সাথে ছিলাম, অথচ তখন আমার
বয়স ছিলো মাত্র ১২-১৩বছর। সমস্ত কিছু মিথ্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আমাকে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। উদ্দেশ্য একটাই আমি যাতে আগামী তে বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে না পারি। এদিকে বালিপাড়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান বাদল সম্পর্কে এমন কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে হতাশ হয়েছেন ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।
বাদল চেয়ারম্যান বলেন-আমার বাবা বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন, আমি নিজেও এই ইউনিয়নে চার বার জনগণের ভোটে তার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তারা আসলে দলের শত্রু। আমি তাদের এসব ঘৃর্ণিত কাজের তীব্র নিন্দা জানানো সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এদের বিচার দাবী করছি।
বালিপাড়া বধির কল্যাণ সংঘ