আরিফ রববানী,(ময়মনসিংহ)
জাতির জনকের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানের অংশ হিসাবে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী মানবতার ফেরিওয়ালা, উন্নয়নের রুপকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও মুক্তাগাছা থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কে এম খালিদ এর নেতৃত্বে মুক্তাগাছা পৌর এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড কে আরো তরান্বিত করে পৌরশহরকে আধুনিক ও মডেল পৌরসভা গঠনে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পৌরবাসীর প্রতি তার লেখা খোলা চিঠি হুবুহু তুলে ধরা হলো –
প্রিয় মুক্তাগাছা পৌরবাসী,
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা পৌরসভা টি ইতিহাস সমৃদ্ধ সুপ্রাচীন একটি পৌরসভা। ১৮৭৮ সালে স্থাপিত হয় মুক্তাগাছা পৌরসভা, বাংলাদেশের প্রাচীন কয়েকটি পৌরসভার মাঝে মুক্তাগাছা পৌরসভাটি অন্যতম। ১১.৯৯ বর্গকিমি (৪.৬৩ বর্গমাইল) এর পৌরসভাটি ০৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত, নগর পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন এবং নাগরিক চাহিদার বিপরীতে চলছে পৌরসভা, এটা কোন ব্যক্তির একক দায় নয়। ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এ পৌরসভার রাস্তা, ড্রেনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ অপ্রতুল। পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফল জলাবদ্ধতা, মুক্তাগাছা পৌরসভার প্রধান নাগরিক সমস্যা জলাবদ্ধতা, সামান্য বৃষ্টিতে মুক্তাগাছার বেশির ভাগ এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, জলাবদ্ধতা কোন কোন এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় রূপ নেয়, এমনকি মুক্তাগাছা পৌরসভার ভিতর দিয়ে প্রধান সড়কটিও এ জলাবদ্ধতার শিকার হয়। পৌরসভার নাগরিকদের নাগরিক সেবার অপ্রতুলতা, পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতার সমস্যা, জলাবদ্ধতা সহ এমন অসংখ্য সমস্যা আছে যা নগরবাসীর জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে। সমস্যা থাকবেই, সমাধানের সঠিক পথ খুজে বের করতে হবে, নগর পরিকল্পনাবিদের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে উন্নয়ন পরিকল্পনা, তারচেয়ে বড় কথা হলো থাকতে হবে প্রচন্ড ইচ্ছে শক্তি।
সম্মানীত পৌরবাসী, আমি বিশ্বাস করি কোন ভাল কাজে পরিপূর্ণতা অর্জনে প্রয়োজন লক্ষ্য স্থির করা। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আপনাদের সার্বিক সহায়তায় আমার চিন্তা-চেতনা ও সৃষ্টিশীল ধ্যান-ধারনা বাস্তবায়নে আমি সর্বদা অবিচল। সন্ত্রাস, দূর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন, মাদকমুক্ত, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য।
সুপ্রিয় পৌরবাসী,
দেশ এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের মহাসড়কে। সেই সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও এগিয়ে যাবো দ্রুত উন্নয়নের দিকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শান্তির দূত। দেশরত্ন শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ১৬ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে সুখী সমৃদ্ধশালী ও আত্ননির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। সেই উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখতে প্রান্তিক পর্যায়ে তার একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ভূমিকাই আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার দ্বার প্রান্তে। বর্তমান সরকারের গৃহীত ২০৪১ সালের রুপকল্প অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে সরকারের একটি ক্ষুদ্র একক হিসেবে আমরা কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
আপনাদের কাছে আমার এতটুকু চাওয়া, আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন সুস্থ শরীরে আপনাদের নগন্য সেবক হিসেবে কাজ করতে করতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সন্ত্রাসমুক্ত মুক্তাগাছা পৌরসভা গড়ে বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত করতে পারি।
সকলের দোয়া, সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণাই আমার শক্তি। বিশ্ব মানবতার জয় হোক, বিশ্ব শান্তির জয় হোক। বিশ্ব ভাতৃত্ব ও সম্প্রীতির জয় হোক।
জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পী,
সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান,
উপজেলা পরিষদ, মুক্তাগাছা ও
আসন্ন পৌর নির্বাচনে মুক্তাগাছা পৌর সভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।