স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ সদরের কাবিখা, কাবিটা,টি আর,অতি দরিদ্রদের জন্য কমসংস্থান কমসুচি,ভি জি এফ,ছোট ছোট সেতু কালভাট,শীত বস্ত্র ,ঢেউটিন ,জি আর ক্যাশ ,জি আর এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ যথারীতি ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবী করেছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে- উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নের অষ্টধার উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ ও বাজারে পুজা মন্ডপটি সংস্কার করা হয়েছে,এসব প্রকল্পের সভাপগতি ও প্রকল্প সেক্রেটারীসহ সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় শুধু এই দুই প্রকল্প নয় এই ইউনিয়নে আরো একাধিক প্রকল্পের উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়েছে। অষ্টধার মিলিনিয়াম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাট ভরাট কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ, একই স্কুলে বন্যাদুর্গতদের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ৩কোটি টাকা ব্যয়ে ৪তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে যা বন্যার সময় স্থানীয় ভানবাসীরা আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হয় আর বন্যা পরবর্তী সময়ে ভবনটিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার সুযোগ পেয়ে থাকে। এসব প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত সচ্ছতার সহিত কাজ শেষে চেকের মাধ্যমে বিল প্রদান করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। ময়মনসিংহ কালেক্টরেট স্কুলের মাটি ভরাট সহ বিভিন্ন প্রকল্পে চেকের মাধ্যমে বিল পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রকল্পের ভুক্তভোগীরা। সাংবাদিক আলম
খান নিজেও একটা মাদ্রাসায় প্রজেক্ট নিয়ে চেকের মাধ্যমে বিল নিয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার সিরতা ইউনিয়ন পরিষদ এর সামনে ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে শহীদী কবর স্থান নির্মাণ সহ উপজেলায় সকল ইউনিয়নে সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের মোট ৭৫০ টি ঘরের নির্মাণ কাজের বিল দেওয়া হয়েছে চেকের মাধ্যমে। তাছাড়া ব্রীজ কালভাট নির্মাণ হয় টেন্ডারের মাধ্যমে, আর ঢাকা থেকে সিনিয়র অফিসাররা এসে ব্রীজ কালভাট নির্মাণ কাজ দেখে তাদের কাছে গ্রহন যোগ্য মনে হলেই ব্রীজ কালভাট নির্মাণ কাজের বিল চেক প্রদান করা হয়,এতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার হাত দেওয়ার কোন সুযোগ থাকেনা।
কুষ্টিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার তাইজুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে- ইউনিয়নের মাটিয়ামতলা করিম মেম্বারের বাড়ি হতে-শ্রীরামপুর তাজুল মেম্বারের বাড়ির মোড় পর্যন্ত…১০০০ মিটার রাস্তার জন্য চরম দুর্ভোগে ছিলো সাধারণ মানুষ। এই রাস্তাটি স্বচ্ছতার সহিত কাজ হয়েছে। তার একটি নিজস্ব কবরস্থান,সহ তিনি ওয়ার্ডের উন্নয়নে অনেক গুলো প্রকল্পের কাজ করেছেন তবে এসব প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা যাচাইয়ের পর চেকের মাধ্যমে বিল পান তিনি।
অষৃটধার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আরমান জানান-অষ্টধার ইউনিয়নের কাউনিয়া চাঁনপুর মোড় থেকে মশিউর নগর বাজার পর্যন্ত রাস্তা কার্পেটিং,
অষ্টধার বাজার থেকে অষ্টধার হাই স্কুল হয়ে কুঠুরাকান্দা প্রাইমারি স্কুল/আমিন মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা ছিলো,অবশেষে রাস্তার
কাজ হওয়া অষ্টধার থেকে ময়মনসিংহ যাতায়াতের বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা হয়েছে। সম্পুর্ন চেকের মাধ্যমে বিল হওয়া এই রাস্তাটির কাজ হওয়ার ফলে এলাকাবাসীর জীবন যাত্রা অনেক সহজতর হয়েছে পাশাপাশি পথযাত্রীদের যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে।তাছাড়াও খামার বাজার থেকে নিমতলা মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা কার্পেটিং এর কাজ শেষ হয়েছে ,
রাস্তাটি এখন একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে ।
এছাড়া পান্ডাপাড়া মোড় থেকে বরইতলা হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তাটি ৫০০ মিটার পাকা হয়েছে।এসব রাস্তার উন্নয়ন কাজের বিল চেকের মাধ্যমে পাওয়ায় তিনি পিআইও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রকল্প গুলো সরেজমিনে ঘুরে এর স্বচ্ছতা যাচাই করেছেন জেলা ত্রাণ কর্মকর্তাসহ দায়িত্ব প্রাপ্ত সংশ্লিষ্টরা। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা জানান,সকল প্রকল্পের চেয়ারম্যানদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজের গুনগত মান বজায় রেখে করতে বলা হয়েছিল। আর সে মোতাবেক বুঝে নেয়া হয়েছে। সকল কাজ বুঝে নিয়ে তাদের প্রাপ্য বিল প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রকল্প কমিটির সদস্যরাও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে।
তবে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশে অনেকের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার বাতাস বইছে। সুত্র জানিয়েছে – যারা এসব ভিত্তীহীন সংবাদ প্রকাশ করে মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে বিগত সরকারের আমলে তারাই উপজেলা প্রশাসন থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরসহ বিভিন্ন সুবিধা লুটে নিয়েছে।
আলোচনা চলছে- উপজেলা থেকে কোন প্রকল্প স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়ন করতে শুধু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাই নয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ এর তদারকি করেছেন, শুধু একজন পিআইও’র স্বাক্ষরেই বিল হয়না তাদেরও স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়,তাহলে সংবাদ প্রকাশ করে শুধু পিআইও কে হয়রানী করা হবে কেন? একজন পিআইও’র নামে স্পেশাল কোন বরাদ্দ থাকেনা যে তিনি সেটা কাজ না আত্মসাৎ করে নিবেন। বরং সরকারি বরাদ্দগুলো জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে একজন পিআইও ঝড়-বৃষ্টি,রোধ উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়ান উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তারপরও সমাজের কিছু মহল রয়েছে মানুষের খুটিনাটি দোষ বেড় করার জন্য। তারা খুজে বেড়ান দোষত্রুটি। সম্প্রতি উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে গণমাধ্যম এমন সংবাদে বিভিন্ন মহলের মাঝে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।