ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অসাধারণ কিংবদন্তি যোদ্ধা, ঢাকা- উত্তর পুর্ব অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের সমর নায়ক,
৩ নং সেক্টরের এরিয়া কমান্ডার,বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা
ময়মনসিংহ সদরের ভাবখালী ইউনিয়নের সন্তান
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশিদকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ৩ টায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ২.৩০ মিনিটে ভাবখালী ইউনিয়নের তার নিজ বাড়ীর নিকটস্থ স্থানীয় মুক্তি ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার দেওয়ার পর তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত মরহুমের মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়।
এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে একই স্থানে জানাজা এবং পরে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কামাল পাশা,নরসিংদী জেলা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রজব আলী,মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা মেজাম্মেল হক,স্থানীয় মকবুল হোসেন,সহ ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জে,নরসিংদী জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশিদ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী,ঢাকা (দঃ)ডেমরা,কসবা মোহনপুর,ময়মনসিংহ ইপিআর ক্যাম্পে ১২১ জন পাক হানাদারকে হত্যা করে ময়মনসিংহ কে মুক্তাঞ্চল ঘোষনা করেছিলেন। ২৬,২৭,২৮ মার্চের সূচনা লগ্নে বিজয় ছিনিয়ে আনা এই রণবীর ৪/১১/২৪ ইং ভোর ৩.৩০ মিনিটে বারডেমে কিডনি ও লিভারের সমস্যায় অসুস্হ জনিত কারণে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেছেন, তার মৃত্যুতে একজন বীরের মহাপ্রয়ান ঘটলো,একটি ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটলো। মৃত্যুকালে মরহুম শেখ হারুন অর রশিদ এর দুই ছেলে ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রয়েছেন।
।